আসন্ন বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে শিক্ষক ও সাংবাদিক উজ্জ্বল বিশ্বাস গ্রামের অলি-গলিতে বহুমুখি কায়দায় প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের মন জয় করে চলছেন । দীর্ঘ ২৬ বছরের সাংবাদিকতা, ২৫ বছরের শিক্ষকতা হিসেবে সবার পরিচিত মুখ উজ্জ্বল বিশ্বাসের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়ায় এলাকায় নির্বাচনি হাওয়া পাল্টে যেতে বসেছে। এর কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণাঞ্চলে ৬,৭,৮ ও ৯ নংওয়ার্ড ।এই চারটি ওয়ার্ড থেকে কেউ কখনও মেয়র নির্বাচিত হয়নি ।এমন কী কেউ মেয়র প্রার্থীও ছিলেন না।এছাড়া এসব এলাকায় ৩ হাজার ৭ শত ভোটার সংখ্যালঘু । তারপরও তিনি হিন্দু, মুসলিম সবার কাছে খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তি। কারণ হিসেবে দেখা গেছে চরম সাহসিকতা, সততা ও প্রতিবাদি কর্মকান্ড । বাঁশখালী পৌরসভা এলাকায় এক সময় দিনে দুপুরেও খুবই ডাকাতি হত। তিনি স্থানীয় যুবকদের নিয়ে প্রতিবাদ করে ডাকাতি বন্ধ করেছেন। কতিপয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করে তিনি ২০১০ সালে এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাজানো মামলায় কারাগারে যান। ওই সময় এলাকার হিন্দু মুসলিম সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ করে ৩দিন হরতাল ডেকে বাঁশখালীবাসী তাকে কারাগার মুক্ত করেন। এর পর ওই মিথ্যা মামলার কারিগর ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ওএসডি করান তিনি। মামলাটিও মিথ্যা হিসেবে আদালতে প্রমাণ করেন।তাঁর মালিকাধীন বাঁশখালী পৌরসদরে গ্রাসরুটস্ চাইল্ড কেয়ার কে.জি. স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে।এছাড়া তিনি গণিত, পর্দাথ বিদ্যা ও রসায়ন বিভাগ নিয়ে বিএসসি বিএড পাশ করা মেধাবী এই শিক্ষক বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।তাঁর অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কর্মরত রয়েছে। এলাকার ওই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরাও তাঁর মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা দেখে খুশি হয়েছেন। তাঁরা প্রকাশ্যে এবং গোপনে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিনই মাদক বিরোধী স্ট্যাটাস দিয়ে মাদক বিরোধী কর্মকান্ড চালানোর কারণেও যুব সমাজের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন। সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করে তিনি প্রতিনিয়ত গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা করে দিয়েছেন অসংখ্য মানুষের বসতভিটা এবং জায়গা-জমি। তিনি জানান,সামাজিক বহুমুখি কর্মকান্ডের কারণে সমাজের এক শ্রেণির দালাল, সুবিধাবাদি রাজনৈতিক কর্মী এবং কতিপয় ব-কলম হলুদ সাংবাদিক গোপনে বিরোধীতা করেন। তবে প্রকাশ্যে নয়। তাঁদেরকে তিনি শত্রু মনে করেন না। কারণ ওরা আছে বলে তিনি সর্তক এবং সমাজের ভাল মানুষের বন্ধু । কারণ সমাজের প্রতিটি মানুষ মানুষের আচার আচরণে সমাজকে নিজের কর্মকান্ডের মুখোমুখি করে তোলে এবং জনপ্রিয় হয়।
যাই হোক, বাঁশখালী পৌরসভায় তিনি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরণ করবেন।বাঁশখালী পৌরসভার উন্নয়নের প্রধান শত্রু ৪টি পাহাড়ি ছড়া। প্রতি বর্ষায় প্রতিটি গ্রামের অলিগলি পাহাড়ি ঢলে ডুবে থাকে। তাঁর প্রধান কাজ হবে পাহাড়ি ছড়া খনন। তারপর অবহেলিত রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা- মসজিদ-মন্দির-কেয়াং পর্যায়ক্রমে সংস্কার। ওয়ার্ড ভিত্তিক নালা নর্দমা স্বেচ্ছাশ্রমে কিংবা সরকারি অর্থে সংস্কার করবেন। হাট-বাজার ও যানবাহন সুরক্ষায় আলাদাভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।
0 Comments